স্টাফ রিপোর্টার : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নিজ বাসার ছাদ থেকে ইয়াসিন আরাফাত (২০) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার আশুগঞ্জ বাজারের কালাম মিয়ায় বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইয়াসিন জেলার নবীনগর উপজেলার হাজী আব্দুর রহমান মিয়ার ছেলে। সে বাজারের কালাম মিয়ার বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকত।
পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানায়, ইয়াসিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি গ্যারেজে কাজ করত। বৃহস্পতিবার বিকালে সে আশুগঞ্জ আসেন। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত ১২ টার দিকে ইয়াসিনের বড় ভাই তুষার নিহত ইয়াসিনের ফেসবুক আইডিতে ঢুকে ম্যাসেঞ্জার চেক করেন। এসময় তিনি দেখতে পান রায়হান নামের তার এক বন্ধুকে ইয়াসিন কান্নাজড়িত কন্ঠে ভয়েস ম্যাসেজ পাঠিয়েছে। সেখানে তার বাসার ছাদে আসার জন্য অনুরোধ করেন ইয়াসিন। কিন্তু রায়হান সেটি দেখেননি। এই ঘটনার পর তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। তারা ভেবেছিলেন ইয়াসিন হয়তো রাগ করে ছাদে বসে আছেন। পরে সকালেও সে বাসায় না ফেরায় পরিবারের লোকজন ছাদে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। এসময় ছাদের বাইরে থেকে দরজা লাগানো ছিল। পরে অন্য ছাদ থেকে গিয়ে ইয়াছিনের গলায় জিআই তার পেঁচানো লাশ দেখতে পায়। পরে দরজা খুলে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনার খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো রইছ উদ্দিন ও সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অনিসুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহতের বাবা হাজী আব্দুর রহমান জানান, ইয়াসিন সবসময় একান্ত, আলভি, রায়হান ও প্রান্তের সাথে আড্ডা দিত। তারাই তাকে হত্যা করেছেন। ২০-২৫ দিন আগে ইয়াসিনকে তার কয়েকজন বন্ধু মারধর করেন। এই ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ কিংবা সাধারণ ডায়েরি করেনি বলেও জানান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইয়াসিনের বন্ধু আলভি ও একান্তকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।