মিরাজের বাদ পড়া ও শান্তকে রাখা নিয়ে যা বললেন লিপু
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্বে বড়সড় রদবদল এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সদ্যসমাপ্ত জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর আসন্ন আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৬ সদস্যের দলে নেতৃত্বে এসেছে পরিবর্তন। উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাসকে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দলের অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছে, আর তার সহকারী হিসেবে থাকছেন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান।

গত বছর অধিনায়কত্ব ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খেলতে পারেননি। তার জায়গায় লিটন নেতৃত্ব দিয়ে ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করেছিলেন। এবার তাকে স্থায়ীভাবে নেতৃত্বের ভার দেওয়া হলো।
লিটনকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি সদ্য সাবেক অধিনায়ক শান্ত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘অভিনন্দন লিটন ভাই। আশা করছি, আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।’
তবে পারফরম্যান্স বিবেচনায় শান্তকে দলে রাখা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। শেষ ১৮ ইনিংসে একটি ফিফটিও নেই, স্ট্রাইক রেট ১১০-এর নিচে, বিশ্বকাপ ও ঘরোয়া ক্রিকেটেও ব্যর্থতা স্পষ্ট। এমনকি বিপিএলেও নিয়মিত একাদশে জায়গা পাননি। তারপরও তাকে রাখা হয়েছে ঘোষিত দলে।
এই বিষয়ে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘শান্ত আমাদের সাবেক অধিনায়ক। অভিজ্ঞতা তো দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ওপরে সৌম্য আছেন, যিনি প্রায় ৯০টি ম্যাচ খেলেছেন। লিটনও আছে। এরপর শান্তর মতো অভিজ্ঞ কেউ দরকার। ওর ম্যাচ সংখ্যা ৪০-এর কাছাকাছি। তাই কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দলে রাখতেই হয়।’
অন্যদিকে, সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যাটে বলে দারুণ পারফর্ম করলেও জায়গা হয়নি মেহেদী হাসান মিরাজের। এ নিয়ে লিপু বলেন, ‘মিরাজ আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের একজন, বিশেষ করে টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে তার অবস্থানও তা প্রমাণ করে। তবে আমরা বিশ্বকাপকে সামনে রেখে একটু পিছিয়ে রেখেছিলাম ওকে। টি-টোয়েন্টিতে যেখানে প্রত্যেক বোলারকে ৪ ওভার করতে হয়, সেখানে শেখ মেহেদী কিছুটা এগিয়ে আছে।’